কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার পেলেন বিজয়

এবার তো অনেক রান করলাম। আশা করি ভালো কিছুই তো হবে। কঠোর পরিশ্রম করেছি। নিজের খেলার অনেক পরিবর্তন এনেছি।’- ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে বিকেএসপিতে রাইজিংবিডিকে কথাগুলো বলছিলেন এনামুল হক বিজয়।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচে দুই ডাবল সেঞ্চুরি ও এক হাফ সেঞ্চুরিতে ৬১৯ রান করে আগেই নির্বাচকদের নজর কেড়েছিলেন বিজয়। প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়ার পর এবার জাতীয় দলের দরজাও খুলল ডানহাতি এ ওপেনারের। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য দলে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়।
শুধু যে লংগার ভার্সনে তা নয়, রঙিন পোশাকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও মাতিয়ে রেখেছিলেন বিজয়। ১৬ ম্যাচে ৫৯৬ রান করে গাজী গ্রুপকে চ্যাম্পিয়ন করাতে বড় ভূমিকা তার। এছাড়া জাতীয় লিগের শেষ মৌসুমের আগের মৌসুমে খুলনার হয়ে দুই সেঞ্চুরিসহ করেন মোট ৪৬৬ রান। আর বিপিএল ৯ ম্যাচে ২৯.৪২ গড়ে দুই হাফসেঞ্চুরিতে করেন ২০৬ রান। সব মিলিয়ে ২২ গজের ক্রিজে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছিলেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান বিজয়। এরপর দল থেকে ছিটকে যান। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে সৌম্য সরকার নিজের জায়গা করে নেন। সৌম্য একপ্রান্তে দ্যুতি ছড়াতে থাকেন অন্যপ্রান্তে বিজয় দলের থেকে দূরে যেতে থাকেন।
কয়েক বছর ধরেই দলে ফিরতে লড়াই করে যাচ্ছেন এনামুল। এবার সুযোগ পেলেন দুই ম্যাচের জন্য। সেটাও সৌম্য সরকারের জায়গায়। সৌম্যর বাজে ফর্ম তাকে বাইরে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচকরা এনামুলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ফিরবেন বিজয়। দুই ম্যাচে ভালো করলে পরবর্তীতে সুযোগ পাবেন পুরো ত্রিদেশীয় সিরিজে।
বিজয়কে নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন,‘এনামুল হক যথেষ্ট ভালো খেলেই সুযোগ করে নিয়েছে। দুই বছর ধরেই পারফরম্যান্স করছে। আশা করি সে এখানে ভালো করতে পারবে।’
এদিকে বিজয়সহ দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে প্রাথমিক দলে থাকলেও এবার সুযোগ পেয়েছেন চূড়ান্ত দলে। সেটাও বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১১৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ৩২৯ রান করেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।মিঠুনকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রধান নির্বাচক,‘মিঠুন ঘরোয়া ক্রিকেট খুব ভালো খেলেছে এবার। টিম ম্যানেজম্যান্ট ওর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আমাদের ধারণা সুযোগ পেলে ও ভালো খেলবে দেশের জন্য।’
১৬ জনের স্কোয়াডে তিন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান থাকলেও মুশফিকুর রহিম নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ। জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক উইকেটের পিছনের দায়িত্ব সামলাবেন,‘মুশফিকতো কিপিং করবেই। প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিমই। যদি দরকার হয় বিজয় আছে ,মিঠুন আছে। তবে ওদের ব্যাটিংটাই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
বিজয়-মিঠুনের দলে ফেরা ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের পুরস্কার। ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম জাতীয় দলে নিয়ে আসতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment